সব
এখানে নির্বিঘ্নে ও কম টাকায় থাকতে পারি। মেসে থাকার চেয়ে এখানে থাকার সুবিধা বেশি।
বাবুবাজারে দিনমজুরের কাজ করা সবুজ বলেন, আমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এখানে (বোর্ডিং) থাকি। যখন প্রথম উঠেছিলাম, তখন কেবিন ভাড়া ছিল ৩০ টাকা।
প্রতিবছর অল্প অল্প করে বাড়তে বাড়তে এখন ১০০ টাকা হয়েছে। যখন বাড়িতে যাই তখন ভাড়া দেওয়া লাগে না। থাকলে ভাড়া না থাকলে ভাড়া নাই।
উজালা বোর্ডিংয়ের দায়িত্বে থাকা ফরিদ নামে একজন স্টাফ বলেন, আমাদের রুমগুলো দৈনিক হিসাবে ভাড়া দেই। সিটি করপোরেশন থেকে বৈদ্যুতিক মিটার নেওয়া আছে। আর নদীতে বোটগুলো রাখার জন্য বিআইডব্লিউটিএর সব কাগজপত্র করা আছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে অন্য কোনো ঝামেলা নেই। তবে কাস্টমার কমে গেছে। আগে বোটগুলো সদরঘাট ওয়াইজঘাট বরাবর ছিল। সেখানে অনেক কাস্টমার ছিল। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের সুবিধার জন্য বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশে এখান থেকে আমাদের সরে যেতে হয়েছে।
যার কারণে এখন মিটফোর্ড হাসপাতাল ঘাটের পাশে বোটগুলো রাখা হয়েছে। এখানে বোটগুলো নিয়ে আসার কারণে পুরাতন কাস্টমার অনেকেই চিনে না। আবার সদরঘাট ওয়াইজঘাট থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় কাস্টমার অনেক কমে গেছে।
ফরিদপুর মুসলিম বোর্ডিংয়ের মালিক মো. মোস্তফা মিয়া জানান, পাকিস্তান আমলে আমার মামা এ ব্যবসা করতেন। এখন আমি করছি।
এক সময় এখানে শুধু রাতের খাবার খেলে ফ্রি থাকা যেত। এখন পানির সমস্যাসহ নানা কারণে খাবার বিক্রি করি না। তবে পুরাতন বোর্ডার যারা, তারা মিলেমিশে রান্না করে খান।
মন্তব্য