সব
‘সিত্রাং’ এর কবলে নৌযান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন কলে ব্রহ্মপুত্রের চরে আটকা পড়া ৮০ জন যাত্রী উদ্ধার
২৪ অক্টোবর ২০২২ সোমবার রাত পৌণে দশটা।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর কবলে পড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাধীন ব্রহ্মপুত্র নদের তেলিপাড়া নামক স্থানে ডুবোচরে আটকে পড়া নৌযানের আজগর নামে এক যাত্রী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে বিকেল ৫ টায় তারা দুইজন মাঝি, নারী ও শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারি ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পথিমধ্যে রাত আটটার দিকে তারা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়েন। এরপর তীব্র স্রোত ও দমকা হাওয়ার তোড়ে তাদের নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি ডুবোচরে আটকে যায়। পরে জানতে পারেন চরটির নাম তেলিপাড়া চর। কলার জানান, বৃষ্টির মধ্যে নারী শিশু সহ ৮০ জন যাত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিজন চরে আটকে আছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল ইমাম হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনষ্টেবল ইমাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং চিলমারী থানায় জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডিস্পাচার এসআই জহুরুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার ওসি জনাব মোঃ আতিকুর রহমান চিলমারীর উপজেলার ইউএনও এবং চিলমারী রমনাঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ’ র ইজারাদার কে জানিয়ে উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে রমনাঘাট থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান চিলমারী থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দল সহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রওনা দিয়ে রাত সোয়া দশটায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের কোন রকম ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আবহাওয়া শান্ত হলে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উদ্ধারকৃত যাত্রীদের রমনাঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়।
চিলমারী মডেল থানার ওসি জনাব মোঃ আতিকুর রহমান ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৯৯৯ দেশের যে কোন প্রান্তে চব্বিশ ঘন্টা নাগরিকের জরুরী মুহুর্তে ও প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্ব্যুল্যান্স সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
ধন্যবাদান্তে,
আনোয়ার সাত্তার
পুলিশ পরিদর্শক
গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯
মন্তব্য