সব
মুন্সীগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী মোহনায় অসংখ্য লাইটার জাহাজের এলোপাতাড়ি নোঙরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নৌপথ। নদী তীরে একের পর এক ভারী শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেও নেই জাহাজের পার্কিংয়ের ডক।
তবে বিআইডব্লিউটিএ বলছে, এসব জাহাজ নোঙরের জন্য কাছাকাছি স্থানে সেফ হারবার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, নদী জুড়ে জাহাজের জট লেগে থাকে। শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর মোহনায় অসংখ্য লাইটার জাহাজ দিনের পর দিন নোঙরের কারণে নৌচলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এলোমেলো জাহাজ নোঙর করে থাকার কারণে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে নৌযান চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
শীতলক্ষ্যার প্রবেশ মুখের মূল চ্যানেলে এ জটলায় দেশের গুরুত্ব নারায়ণগঞ্জ বন্দরগামী বড় বড় কার্গোসহ সব ধরনের নৌযান প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। শীতে কুয়াশায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিমেন্ট তৈরির ক্লিংকার বহনকারী জাহাজ নোঙরের নিরাপদ ইয়ার্ড না থাকায় কারখানার কাছাকাছি নদীজুড়ে নোঙর করে রাখা হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসন বলেন, এই লাইটার জাহাজের অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে এখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কোনো জাহাজ আসতে চায় না। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি ছাড়াও এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই নৌপথ পাড়ি দিচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র এই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জ বন্দরের উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, সরু এই মোহনায় ৭০ থেকে ৮০টি জাহাজের জট লেগেই থাকে। সিমেন্ট ফ্যাক্টরির যেমন শাহ সিমেন্টের ৮০/৯০টি জাহাজ রয়েছে। এ ছাড়ার অন্যান্য ফ্যাক্টরিরও কিছু জাহাজ আছে তাদের আমরা প্রতিনিয়তই বলছি, চ্যানেল দখল করে জাহাজ নোঙর করার ব্যাপারে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করছি।
আমরা চেষ্টা করছি। এসব জাহাজ নোঙরের জন্য কাছাকাছি স্থানে সেফ হারবার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বাবু লাল বৈদ্য।
সূত্র : সময়টিভি।
মন্তব্য