সব
রাজধানীর তুরাগ থানার ডাকাতি মামলার আসামী, কুখ্যাত নৌ সন্ত্রাসী, খিজির আহমেদ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে ছাড়াআপেয়ে আবারও বেপরোয়া।
র্যাব -৪, কে আবারও অনুরোধ করছি, এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তার পালিত জলদস্যুর সহোযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
রাজধানীর তুরাগ থানার ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী খিজির আহমেদ ওরফে খাজা বাকি বিল্লাকে রাজধানীর দারুসসালাম থানার গৈদারটেক খিজির আলী মসজিদের পাশের একটি বাড়ি থেকে র্যাব -৪, ৬ অক্টোবর সকাল ৯ ঘটিকার সময় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের কয়েকজন জন সদস্য অভিযান চালিয়ে পেশাগত এই ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বলে র্যাব সূত্রে জানা যায়। এতে এলাকাবাসির মাঝে সস্তি ফিরে আসে, এলাকাবাসী বলেন এরকম একজন ডাকাত আমাদের এলাকায় থাকা মানে আমাদের বিপদের আশঙ্কা থাকে, তাই তারা র্যাব ৪ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। এলাকাবাসী বলেন গত ১৭ সেপ্টেম্বর আমাদের এলাকার প্রায় বাড়ি ডাকাতির চেষ্টা চালায় পরে একজনকে আমরা মাদ্রাসার ভিতর থেকে ধরতে সমক্ষ হই সেই মামলায় ইউসুফ নামে একজন এখন জেলে আছে। এলাকায় চুরি ছিনতাই সহ একাধিক মামলা এই খিজির আহমেদ এর বিরুদ্ধে আছে বলে জানা যায়। র্যাব জানায় খিজির আহমেদ ওরফে খাজা বাকি বিল্লা রাজধানীর তুরাগ থানায় ডাকাতি মামলা নং ৭-৭-২০১৫ এর ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নরসিংদীর মনোহরদী থানায় ডাকাতি মামলা নং ১৯(৬)২০১৫ রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা কোর্টে একটি ছিনতাই মামলা যার নং ৩০৩/২০২২ রয়েছে। এর আগে তার স্থায়ী ঠিকানা গ্রামের বাড়ি টামটা, সাহারাস্তি, চাঁদপুরে একাধিক মামলাও তার বিরুদ্ধে হয়। জানা যায় খিজির আহমেদ ওরফে খাজা বাকি বিল্লা চাদপুরের সাহারাস্তী থানার টামটা গ্রামের ক্বারী মোঃ ঈদ্রিস এর পুত্র। সে এলাকায় মামলা থাকায় ঢাকায় পাড়ি জমায়। গাবতলীর জাহাজ শ্রমিকরা জানান ঘাটে জাহাজ বাধলে জাহাজ প্রতি তাকে দুইশত টাকা দিতে হতো, না দিলে ডাকাতির হুমকি সহ নানা ভয়ভীতি দেখানো হতো, তাদের মাঝেও সস্তি ফিরে এসেছে বলে তারা জানান এবং র্যাব ৪ কে জাহাজ শ্রমিকরা ধন্যবাদ জানান। অত্র এলাকাবাসী ও জাহাজ শ্রমিকগণ বলেন- খিজির আহমেদ খাজা এর সাথে কিছু সহযোগী আছে তাদেরও গ্রেপ্তারে দাবী জানান তারা।
বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়ে এই সন্ত্রাসী খিজির আহমেদ খাজা আরো বেপরোয়া, নৌযান শ্রমিকলীগের নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত নৌ শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা সহ এলাকায় বাসিদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম লীগের নাম ব্যবহার করে খাজা, কামাল সহ তাদের পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। র্যাব ৪ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরা তার কিছুই করতে পারবেনা বলে দাবী করেন খাজা।আইনের লোক তার পকেটে বলে জনায়।
এমত অবস্থায় বাংলাদেশের সকল প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মন্তব্য