সব
শুরু হয়েছে উপকূলে ডেঞ্জার মৌসুম। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোলা ও পটুয়াখালীর উত্তাল মেঘনা-তেঁতুলিয়া সহ বিভিন্ন নদীর প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার জুড়ে ছোট নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাস ট্রলার, স্পীডবোট ও ছোট লঞ্চের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু উপকূলে এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঝুকি নিয়ে চলছে ছোট নৌযান। উপকূলীয় এ রুটগুলো হচ্ছে- মেঘনা নদীর ইলিশা-মজু চৌধুরীরহাট, চর আলেকজান্ডার-দৌলতখান, মনপুরা-শশীগঞ্জ, তেতুলিয়া নদীর দশমিনা-চরকলমী, দশমিনা-চরমন্তাজ।
ডেঞ্জার মৌসুমে এসব রুটে কেবল সী ট্রাক চলার কথা থাকলেও ঝুকি নিয়ে চলছে ট্রলার, স্পীডবোট এমনিকি ছোট লঞ্চও। উপকূলীয় এলাকা ভোলার মনপুরার সাকুচিয়া জনতা ঘাট থেকে চরফ্যাশনের বেতুয়ায় ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলার আকৃতির লঞ্চ চলাচল করে। মনপুরার রিজিরখাল থেকে নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত ছোট লঞ্চ চলাচল করে থাকে অশান্ত এ মৌসুমেও।
মনপুরার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক মাহবুবুল আলম শাহিন বলেন, দুর্যোগপূর্ন মৌসুমে মেঘনা উত্তাল থাকে। এসময় সী ট্রাকের চলাচল কিংবা বে-ক্রুজিং সনদ আছে এমন লঞ্চ সার্ভিসে আনা যেতে পারে। তাহলে উপকূলীয় এসব এলাকার যাত্রীরা বেশ উপকৃত হতো।
বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ব্যাবস্থাপক মো: পারভেজ বলেন, ডেঞ্জার জোন শুরু হওয়ায় ইলিশা মজু চৌধুরী হাট এবং মনপুরা-শষীগঞ্জে ৩ সী ট্রাক চালু হচ্ছে। ঝড়ঝঞ্জায় এসব এলাকায় নদী থাকে উত্তাল। যেকারনে ছোট নৌযান চলাচল ঝুকিপূর্ন। এসব নিয়ন্ত্রন করবে বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল ব্যবস্থাপক জসীম উদ্দীন বলেন, এক সময় বরিশাল-লক্ষীপুর থেকে মজু চৌধুরীর হাট সী ট্রাক যেত। এখন আর এ রুটে সী ট্রাক চলছে না। জানা গেছে, বরিশাল থেকে সি ট্রাক খিজির-৮ বন্ধ করে সেখানে চলাচল করছে কয়েকটি লঞ্চ।
বিআইডব্লিউটিএ এর ভোলার সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোলা থেকে অবৈধ স্পীড বোট, ট্রলার চলাচল বন্ধের জন্য পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অবৈধ নৌযান রোধে তারা অভিযান পরিচালনা করবেন।
মন্তব্য